জাতের নামঃ |
বিনামুগ-১০ |
জাতের বৈশিষ্ট্যঃ |
বিনামুগ-১০ এর জীবনকাল ৬২-৬৪ দিন, বীজের আকার বড়, ৮৫-৯০% ফল প্রায়ে একই সঙ্গে পাকে। বীজের রং সবুজ, পাতা হলুদ মোজাইক ভাইরাস এবং সারকোস্পরা রোগ সহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন। |
উপযোগী এলাকাঃ |
বেলে দো-আশ ও এটেল দো-আশ মাটি মুগ চাষের উপযোগী। তবে লবণাক্ত ও জলাবদ্ধ এলাকা ব্যতীত সারা বাংলাদেশে চাষাবাদ করা যায়। |
বপনের সময়ঃ |
অঞ্চলভেদে কিছুটা তারতম্য আছে। বরিশাল বিভাগের জেলাসমূহে জানুয়ারির ২য় সপ্তাহ হতে ফেব্রু যারির ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত মুগের বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মধ্য ফেব্রুযারির থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বীজ বপন করতে হয়। |
বীজ শোধনঃ |
বীজ বপন করার সময় পিপড়ার আক্রমন হতে রক্ষার জন্য বীজ বপনের সাথেই সেভিন পাউডার বপনকৃত বীজের লাইনের সাথে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। |
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ |
সারের মাত্রাঃ শেষ চাষের সময় নিমে ণউলেস্নখিত পরিমাণ সার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। হেক্টর প্রতি ৩০-৪০ কেজি ইউরিয়া, ৫০-৭০কেজি টিএসপি এবং ৩৫-৪০ কেজি এমওপি। |
আগাছা দমন এবং মালচিংঃ |
চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে ১৫-২৫ দিন পর নিড়ানী দিয়ে হালকাভাবে আগাছাগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হয়। এতে ভাল ফলন পাওয়া যায়। |
বালাই ব্যবস্থাপনাঃ |
পাতায় সার্কোস্পরা দাগ এবং হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ সহ্য ক্ষমতাসম্পন্ন। সাধারণতঃ কোন ছত্রাক নাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পরে না। তবে ছত্রাকজনিত রোগের মারাত্মক আক্রমণ হলে ডায়াথেন এম-৪৫ বা অন্য কোন ছত্রাক নাশক ফসলী জমিতে স্প্রে আকারে প্রয়োগ করা যেতে পারে। বপনের পূর্বে প্রতি কেজি বীজ ২.০ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০ দ্বারা শোধন করলে রোগের আক্রমণ কম হয়। তাছাড়া এ জাতের পোকা আক্রমণও তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট কম। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে ডায়াজিনন বা ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি ইত্যাদি কীটনাশক মাত্রা অনুযায়ী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়। |
ফলনঃ |
১.৮ টন |